wi-fi

Wi-Fi

Wi-Fi Encryption কি?

প্রথমেই জেনে নেই Encryption কি। Encryption হচ্ছে কোনো ডাটা বা ইনফরম্যাশন কোডে রুপান্তিত হওয়ার প্রক্রিয়া। আর ওয়াইফাই এনক্রিপশন হচ্ছে Wireless Router এবং পিসির মধ্যে ডাটা ট্রান্সমিটকে এনকোড করার প্রক্রিয়া। সকল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক Encrypted না যেগুলো Encrypted নেটওয়ার্ক না সেগুলো খুব সহজেই হ্যাক করা সম্ভব। চলুন এইবার ওয়াইফাই সিকিউরিটি সম্পর্কে জেনে নেই।

Wi-Fi Security Protocols

১৯৯০ সালের পর থেকে একাধিক ওয়াইফাই সিকিউরিটি প্রোটোকল আপগ্রেড হয়েছে সেগুলো হচ্ছে WEP, WPA, WPA2। চলুন ধাপে ধাপে এই সিকিউরিটি প্রোটোকল সম্পর্কে জেনে নেই।

WEP (Wired Equivalent Privacy)

ওয়াইফাই সিকিউরিটি প্রোটোকল WEP তখন সারাবিশ্বে ব্যবহার করা হতো। WEP ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অফিশিয়ালি ভ্যালিড হয়। তখন WEP এর Key সাইজ ছিলো মাত্র ৬৪-বিট। পরে তা ১২৮ বিট করা হয়। Key সাইজ কম হওয়ার কারনে WEP স্ট্যান্ডার্ডে অনেক সিকিউরিটি ফ্লস দেখা দেয়। তখন বাজারে পাওয়া এবেলেবল সফটওয়্যার দিয়ে মিনিটের মধ্যে ওয়াইফাই হ্যাক করা যেত। এই কারনে ২০০৪ সালে WEP অফিশিয়ালি বন্ধ হয়ে যায়।

WPA (Wi-Fi Protected Access)

WEP অফিশিয়ালি বন্ধ হওয়ার আগেই ২০০৩ সালে WPA রিলিজ হয়। WPA সিকিউরিটি ভার্নারেবিলিটিস WEP থেকে কম ছিলো। WPA-তে PSK (Pre-Shared Key) কনফিগারেশন ব্যবহার করা হয়। WPA-তে কী-২৫৬ বিট ব্যবহার করা হতো যা WEP System থেকে অনেক বেশি তাই এর সিকিউরিটি দূর্বলতাও WEP থেকে কম ছিলো। পরে WPA-তে TIKIP(Temporal Key Integrity Protocol) ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু পরে WPA সিকিউরিটি প্রোটোকলও সহজেই হ্যাক করা যেত।

WPA2 (Wi-Fi Protected Access II)

২০০৬ সালে WAP সাসপেন্ড হয়ে যায় WPA2 রিলিজ হওয়ার পর। এই সিকিউরিটি সিস্টেমে অনেক পরিবর্তন আনা হয়। এখানে WPA2-AES কনফিগারেশন ব্যবহার করা হয়। এই সিস্টেমে কোনোভাবেই অ্যাটাকার আপনার ওয়াইফাইর একসেস পাবে না নির্দিষ্ট কী-ছাড়া। তবে বাজারে কিছু অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলো ক্যানিং করে অনেকগুলো Key কালেক্ট করে ওয়াইফাইতে একসেস করার চেষ্টা করে।